রোগ সৃষ্টির ফ্যাক্টরসমূহ
রোগ হল এমন একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া যা আমাদের স্বাভাবিক জীবনকে ব্যাহাত করে। অর্থাৎ রোগ হল সুস্থতার বিপরিত শব্দ।
বেশকিছু ফ্যাক্টরের কারনে আমরা রোগাক্রান্ত হতে পারি।
যেমন:
১।পূর্বনির্ধারিত(Predisposing factors)ফ্রাক্টর।
২।সক্ষমতা।( Enabling/disabling factors)
৩। প্রিসিপিটিং ফ্যাক্টর(Precipitating factors)।
৪।রিইনফোর্সিং ফ্যাক্টর(Reinforcing factors)।
পূর্বনির্ধারিত(Predisposing factors)ফ্রাক্টর:বয়স,সেক্স,জিনগত সমস্যা এগুলোকে একাত্রে বলা হয় পূর্বনির্ধারিত(Predisposing factors)ফ্রাক্টর।
মানুষের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে শরিলের কার্যক্ষমতা
হ্রাস পায়। ফলে ইমিউন সিস্টেম দূর্বল হয়ে পড়ে।যারফলে বিভিন্ন ধরনের অসুখ দেখা দেয়।
তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের যেীনবাহিত রোগ, যেমন: সিফিীলস,গনেরিয়া,এইডস ইত্যাদি রোগগুলো শারিরিক মিলনের সময় ছড়িয়ে থাকে।যেহেতু আমাদের যৌনাঙ্গ সমুহ খুব সেনসিটিভ এবং উন্মক্ত তাই সহজেই এসমস্ত জিবানুগুলো আমাদের দেহে ঢুকে যেতে পারে এবং রোগ সৃষ্টি করতে পারে।এছাড়াও বিভিন্ন জিনগত সমস্যার কারনেও আমরা রোগাক্রান্ত হতে পারি।উদাহরণ স্বরুপ বলা যেতে পারে বর্ণন্ধতা(Color-blind),হিমোফিলিয়া,থ্যলাসেমিয়া।এসকল রোগগুলো জিনের মাধ্যমে বংশানুক্রমে ছড়িয়ে থাকে।মেন্ডেলের সূত্রানুযায়ি একজন ব্যক্তির মধ্যে এসমস্ত অসুস্থ জিন প্রকট বা প্রচ্ছন্ন যেকোন ভাবেই থাকতে পারে।যাদের ভেতরে এসমস্থ জিন প্রকট হিসেবে থাকে তাদের ভেতরে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় অর্থাৎ তারা রোগে আক্রান্ত হয়, অন্যদিকে যাদের মধ্যে এসমস্ত জিন প্রচ্ছন্ন হিসেবে থাকে তাদের মধ্যে রোগের লক্ষণ প্রকাশ না পেলেও তারা বাহক হিসেবে কাজ করে।এভাবে জিনের মাধ্যমে রোগ এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তি প্রজন্মে ছড়াতে পারে।
সক্ষমতা( Enabling/disabling factors):আর্থিক সক্ষমতা রোগ সৃষ্টির একটা অন্যতম ফ্যাক্টর হতে পারে। দেহকে রোগ মুক্ত রাখার প্রধাণ উপায় শরিরকে সুস্থ রাখা।আর শরির সুস্থের জন্য প্রয়োজন প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও সুষম খাদ্যের।দেহ প্রয়েজনীয় সুষম খাবার না পেলে দেহের ইমিউন সিস্টেম দূর্বল হয়ে পড়ে।তখন বিভিন্ন জিবানু দেহে সহজে আক্রমন করতে পারে।আর এ অপুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য প্রয়োজন অর্থের।তাছাড়া অসুস্থ হয়ে পড়লে অর্থের অভাবে সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ার ফলে রোগটা আরো জটিল আকার ধারণ করে।
প্রিসিপিটিং ফ্যাক্টর( Precipitating factors): কোন নির্দিষ্ট জিবানুর সংস্পর্শে এলে সেই জিবানু দ্বারা রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকে একে প্রিসিপিটিং ফ্যাক্টর বলে।যেমন করনা,হাম, গুটিবসন্ত,ইত্যদী রোগের জিবানুর সংস্পর্শে আসলে এসকল জিবানু সহজেই দেহে প্রবেশ করে রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
রিইনফোর্সিং ফ্যাক্টর(Reinforcing factors): বারবার একই ফ্যাক্টর দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ফলে রোগটি দেহের ইমিউন সিস্টেমের সাথে খাপ খাইয়ে নেয় যার ফলে সেই রোগটার বিরুদ্ধে দেহ কোন কার্যকারী পদক্ষেপ নিতে পারেনা।একে Reinforcing factors বলে।যেমন ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর এন্টিবায়োটিকের ডোস শেষ না করলে রোগটি ঐ এন্টিবায়োটিকের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়।যার ফলে ঐ এন্টিবায়োটিক দ্বারা রোগটিকে আর প্রতিহত করা যায়না।
উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে এটা বলা যায় যে বর্ণিত ফ্যাক্টরগুলো রোগ সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট।
welcome
ReplyDelete