খলিফা হযরত ওমর (রা)
সূচনা: হযরত ওমর (রা) ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা। তিনি ছিলেন সৎ, সাহসী ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোর। ন্যায়নীতি ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় খলিফা ওমর (রা) ছিলেন অনন্য। তাই মানুষ তাঁকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসত ।
বংশ পরিচয়: খলিফা হযরত ওমর (রা) কুরাইশ বংশের আদী গোত্রের লোক ছিলেন। তাঁর পিতার নাম খাতাব এবং মাতা হানতামা। তাঁর প্রকৃত নাম ওমর, উপাধি হলো ফারুক । রাসুল (স)-এর জন্মের তেরো বছর পর ওমর (রা) জন্মলাভ করেন ।
কিশোর ওমর (রা): কৈশোরে ওমর (রা)-কে তাঁর পিতা উটের রাখালের কাজে নিয়োজিত করেন। তিনি মক্কার নিকটবর্তী 'দাজনান' নামক স্থানে উট চরাতেন। প্রখর রোদে পশমী জামা পরে তিনি মাঠে উটা চরাতেন ।
যোদ্ধা ও সাহসী ওমর (রা): যৌবনের শুরুতেই হযরত ওমর (রা) যুদ্ধবিদ্যা, কুস্তি, বক্তৃতা এবং বংশ তালিকা শিক্ষা প্রভৃতি আয়ত্ত করেন। তিনি ছিলেন তাঁর যুগের শ্রেষ্ঠ কুস্তিগীর। এছাড়াও জাহেলি আরবের এক বিখ্যাত ঘোড়সওয়ার ছিলেন হযরত ওমর (রা)। তিনি যেমন সাহসী ছিলেন তেমনি ছিলেন বীর যোদ্ধা। তাঁর সাথে যুদ্ধ করার সাহস কেউ করত না।
ইসলাম গ্রহণ: ইসলাম গ্রহণের পূর্বে ওমর ছিলেন ইসলামের ঘোর বিরোধী। তিনি নবি মুহম্মদ (স)-কে হত্যা করতে তরবারি নিয়ে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু পথিমধ্যে শুনতে পান তাঁর বোন ও ভগ্নিপতি ইসলাম গ্রহণ করেছে। এ কথা শুনে রাগ ও ক্ষোভে ছুটে যান বোনের বাড়িতে। সেখানে গিয়ে কোরআনের বাণী শুনে তাঁর মন গলে যায় তিনি মহানবি হযরত মুহম্মদ (স)-এর কাছে গিয়ে ইসলামের ছায়াতলে শামিল হন ।
উপসংহার: ইসলামের ইতিহাসে হযরত ওমর (রা)-এর অবদান অপরিসীম । তিনি গরিব ও অসহায় মানুষের জন্য নিবেদিত এক শাসক ছিলেন। ইসলাম গ্রহণের পর তিনিই প্রথম কাবার চত্বরে প্রকাশ্যে আজান ওয়ার উদ্যোগ নেন । তাঁর উদারতা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোরতা সবার জন্য অনুকরণীয় হয়ে আছে।
Comments
Post a Comment
Thanks