সম্পৃক্ত ও অসম্পৃক্ত দ্রবণের পার্থক্য।
সম্পৃক্ত দ্রবণঃ নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় একটি নির্দিষ্ট দ্রাবকে সর্বোচ্চ যে পরিমাণ দ্রব দ্রবীভূত হওয়া সম্ভব, সেই পরিমাণ দ্রব ঐ দ্রাবকে উপস্থিত থাকলে ঐ দ্রবণকে সম্পৃক্ত দ্রবণ বলে।
২। সম্পৃক্ত দ্রবণ কোন দ্রবকে আর দ্রবীভূত করতে পারেনা।
৩। সম্পৃক্ত দ্রবণে আরও দ্রব যোগ করলে দ্রবণের ঘনমাত্রার কোন পরিবর্তন হয়না।
৪। সম্পৃক্ত দ্রবণে নির্দিষ্ট তাপমাত্রার চেয়ে বেশি তাপ দিলে তা অসম্পৃক্ত দ্রবণে পরিণত হয় অর্থাৎ দ্রব দ্রবীভূত করতে পারে।
৫। অতিপৃক্ত বিন্দুতে পৌছানোর পর তাপ দিলেও আর কোন দ্রব দ্রবীভূত হয়না বরং দ্রবীভূত দ্রব গুলো পূনরায় কঠিন দ্রব পদার্থে পরিণত হয়ে তলায় জমতে থাকে।
অসম্পৃক্ত দ্রবণঃ ১। নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় একটি নির্দিষ্ট দ্রাবকে সর্বোচ্চ যে পরিমাণ দ্রব দ্রবীভূত হওয়া সম্ভব, সেই পরিমাণ দ্রব ঐ দ্রাবকে উপস্থিত না থাকলে ঐ দ্রবণে আরও দ্রব দ্রবীভূত হলে তাকে অসম্পৃক্ত দ্রবণ বলে।
২। অসম্পৃক্ত দ্রবণ আরও অধিক দ্রবকে দ্রবীভূত করতে পারে।
৩। অসম্পৃক্ত দ্রবণে আরও দ্রব যোগ করলে তা দ্রবীভূত হওয়ার সাথে সাথে দ্রবণের ঘনমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
৪। সম্পৃক্ত দ্রবণকে তাপ দিয়ে দ্রাবককে বাষ্পীভূত করে দ্রবণকে ঘন করলে তা সম্পৃক্ত দ্রবণে পরিণত হয়। এবং তা আর কোন দ্রব কে দ্রবীভূত করতে পারেনা।
৫। সম্পৃক্ত দ্রবণকে তাপ দিলে তা অতিপৃক্ত হওয়ার আগে সম্পৃক্ত দ্রবণ হয়।
Comments
Post a Comment
Thanks