আল-মাহমুদ
আল-মাহমুদ ১. কাঁপুনি আল মাহমুদ শেষ হয়নি কি, আমাদের দেয়া-নেয়া? হাত তুলে আছে, পাড়ানি মেয়েটি বিদায়ের শেষ খেয়া, ডাকছে আমাকে হাঁকছে আমাকে আমিই শেষের লোক। শ্লোক শেষ হলো, অন্ত-মিলেরও শেষ। কাঁপছে নায়ের পাটাতন বুঝি ছেড়ে যেতে উৎসুক। আমি চলে গেলে এ পারে আঁধারে কেউ থাকবে না আর সব ভেসে গেছে এবার তবে কি ভাসাবো অন্ধকার? আলো-আঁধারির এই খেলা তবে আমাকে নিয়েই শেষ আমার শরীর কাঁপছে যেমন কাঁপছে বাংলাদেশ। ২. কবিতা এমন আল মাহমুদ কবিতা তো কৈশোরের স্মৃতি। সে তো ভেসে ওঠা ম্লান আমার মায়ের মুখ; নিম ডালে বসে থাকা হলুদ পাখিটি পাতার আগুন ঘিরে রাতজাগা ভাই-বোন আব্বার ফিরে আসা, সাইকেলের ঘন্টাধ্বনি–রাবেয়া রাবেয়া– আমার মায়ের নামে খুলে যাওয়া দক্ষিণের ভেজানো কপাট! কবিতা তো ফিরে যাওয়া পার হয়ে হাঁটুজল নদী কুয়াশায়-ঢাকা-পথ, ভোরের আজান কিম্বা নাড়ার দহন পিঠার পেটের ভাগে ফুলে ওঠা তিলের সৌরভ মাছের আঁশটে গন্ধ, উঠানে ছড়ানো জাল আর বাঁশঝাড়ে ঘাসে ঢাকা দাদার কবর। কবিতা তো ছেচল্লিশে বেড়ে ওঠা অসুখী কিশোর ইস্কুল পালানো সভা, স্বাধীনতা, মিছিল, নিশান চতুর্দিকে হতবা